ম্যাটস-এর পূর্ণরূপ মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল। যেখানে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং কোর্সের উপর পড়াশোনা করানো হয়। এই কোর্স চার বছর মেয়াদী, ৪ বছরে ১১টি বিষয়ের উপর পড়াশোনা করানো হয়।পাশাপাশি এদেরকে প্রতি বর্ষে ৩ মাস করে হাসপাতালসমূহে ওয়ার্ড প্লেসমেন্ট দেওয়া হয়। এভাবে চার বছর সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর।বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে এদেরকে ডিএমএফ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল থেকে,এদের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য D ক্যাটাগরির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়ে থাকে।
জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ প্রাপ্ত হতে হবে।
দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে সরকারি ভাবে এদেরকে নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে। ইউনিয়ন সাবজেক্টে SACMO হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে।বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ও এনজিওতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে এমার্জেন্সি এবং অপারেশন থিয়েটার ও ওয়ার্ডের মেডিকেল এসিস্টেন্ট হিসেবে চাকরির সুযোগ রয়েছে। সর্বোপরি এদের রয়েছে নিজস্ব চেম্বারে রোগী দেখার সুযোগ। আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলের চিকিৎসাসেবায় এদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সরকারি চাকরিতে DMF দের সাব এ্যাসিস্টেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বা উপ-সহকারী চিকিৎসক কর্মকর্তা অথবা মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে নানাবিধ পদে চাকরির সম্ভাবনা রয়েছে। এক কথায়, এই কোর্স সম্পন্ন করলে ১০০% নিশ্চিত চাকরি অথবা আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।